সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে : যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ আ.লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপি’র সদস্য হতে বাধা নেই : রিজভী দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও’র পদত্যাগ দাবিতে লংমার্চ হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত গোলা ভরে ধান তুলে স্বস্তিতে কৃষক সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও পাকিস্তান অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ ছিল মুবিন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে স্মারকলিপি নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের শুনানি ১৩ মে ঈদে টানা ১০ দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, বেসরকারি অফিসও বন্ধ দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, বিএনপি দেখাল শক্তি-সমর্থন জুবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান জামালগঞ্জ-জয়নগর সড়ক এক যুগেও সংস্কার হয়নি : দুর্ভোগে লাখো মানুষ মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে প্রতিবেশী খুন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু

বজ্রপাতের আতঙ্কে সুনামগঞ্জ : সচেতনতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন

  • আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০১:১১:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০১:১১:১৮ পূর্বাহ্ন
বজ্রপাতের আতঙ্কে সুনামগঞ্জ : সচেতনতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন
সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জে বজ্রপাতের প্রকোপ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতিবার বর্ষার মৌসুম এলেই এই অঞ্চলের মানুষ শঙ্কায় দিন কাটায় - বজ্রপাত কবে কোথায় ঘটবে, কে এর শিকার হবেন, তার কোনো পূর্বাভাস নেই। কিছুদিন আগে বজ্রপাতে প্রাণহানি ও আহতের খবর আমাদের আবারও সতর্ক করে দিয়েছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে টেকসইভাবে মোকাবিলা করার জন্য শুধুমাত্র করুণা বা কাকতালীয় রক্ষা যথেষ্ট নয়; দরকার পরিকল্পিত প্রস্তুতি ও সচেতনতা। সুনামগঞ্জ একটি হাওর অধ্যুষিত এলাকা। খোলা আকাশ, সমতল ভূমি ও বিস্তীর্ণ জলরাশির কারণে এখানে বজ্রপাতের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। কৃষকেরা যখন হাওরে ধান কাটতে যান, তখন তারা খোলা পরিবেশে অবস্থান করেন - যা বজ্রপাতের সময় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রায়ই দেখা যায়, একটি বজ্রপাতেই একইসঙ্গে একাধিক প্রাণহানি ঘটে। এই বাস্তবতায় আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমত, বজ্রপাত সম্পর্কিত গণসচেতনতা বাড়াতে হবে- বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, হাটবাজারে প্রচার চালাতে হবে কীভাবে বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকা যায়। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে প্রযুক্তির সহায়তায় পূর্বাভাস প্রচার জোরদার করতে হবে। মোবাইল এসএমএস, মসজিদের মাইক ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্কতার জানান দিতে হবে। তৃতীয়ত, বজ্রনিরোধক টাওয়ার ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে হাওরের মাঝে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে। আমরা জানি, বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা - তবে এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা আমাদের হাতে। তাই সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জকে বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে অনেকাংশেই রক্ষা করা সম্ভব। এই প্রয়াস যেন থেমে না যায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ