সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বজ্রপাতের আতঙ্কে সুনামগঞ্জ : সচেতনতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন

  • আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০১:১১:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০১:১১:১৮ পূর্বাহ্ন
বজ্রপাতের আতঙ্কে সুনামগঞ্জ : সচেতনতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন
সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জে বজ্রপাতের প্রকোপ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতিবার বর্ষার মৌসুম এলেই এই অঞ্চলের মানুষ শঙ্কায় দিন কাটায় - বজ্রপাত কবে কোথায় ঘটবে, কে এর শিকার হবেন, তার কোনো পূর্বাভাস নেই। কিছুদিন আগে বজ্রপাতে প্রাণহানি ও আহতের খবর আমাদের আবারও সতর্ক করে দিয়েছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে টেকসইভাবে মোকাবিলা করার জন্য শুধুমাত্র করুণা বা কাকতালীয় রক্ষা যথেষ্ট নয়; দরকার পরিকল্পিত প্রস্তুতি ও সচেতনতা। সুনামগঞ্জ একটি হাওর অধ্যুষিত এলাকা। খোলা আকাশ, সমতল ভূমি ও বিস্তীর্ণ জলরাশির কারণে এখানে বজ্রপাতের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। কৃষকেরা যখন হাওরে ধান কাটতে যান, তখন তারা খোলা পরিবেশে অবস্থান করেন - যা বজ্রপাতের সময় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রায়ই দেখা যায়, একটি বজ্রপাতেই একইসঙ্গে একাধিক প্রাণহানি ঘটে। এই বাস্তবতায় আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমত, বজ্রপাত সম্পর্কিত গণসচেতনতা বাড়াতে হবে- বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, হাটবাজারে প্রচার চালাতে হবে কীভাবে বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকা যায়। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে প্রযুক্তির সহায়তায় পূর্বাভাস প্রচার জোরদার করতে হবে। মোবাইল এসএমএস, মসজিদের মাইক ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্কতার জানান দিতে হবে। তৃতীয়ত, বজ্রনিরোধক টাওয়ার ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে হাওরের মাঝে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে। আমরা জানি, বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা - তবে এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা আমাদের হাতে। তাই সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জকে বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে অনেকাংশেই রক্ষা করা সম্ভব। এই প্রয়াস যেন থেমে না যায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ